বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে লাশের সংখ্যা বেড়ে ৩৬, এক প্রত্যক্ষদর্শীর মর্মস্পশী বর্ণনা

আমিনুল হক আমিনুল হক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০ 914 views
শেয়ার করুন
মুন্সিগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে এমএল মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অন্যদের উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড।
 
সোমবার সকাল নয়টার দিকে এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। ময়ূর ২ নামে একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া লঞ্চে থাকা আবদুর রউফ নামের এক যাত্রী জানান, আমি ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছি। ২০ বছর ধরে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রী হয়ে সকালে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসি। কাজ শেষে আবার ঢাকা থেকে বিকালে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাই।
 
প্রতিদিনের মতো আজও সকাল সাড়ে সাতটায় মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই। আমাদের লঞ্চটাতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল। লঞ্চটি সদরঘাটের একেবার কাছে চলে আসে। আমরা নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে ঘাটের খালি একটি লঞ্চ আমাদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। ভয়ে আমরা সবাই চিৎকার দিই। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের লঞ্চটি উল্টে যায়। আমরা ছিলাম লঞ্চের নিচের তলায়। পানিতে হাবুডুবু খেতে থাকি। দম আমার বের হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি পানির উপরে উঠতে পেরেছি। যার কারণে বেঁচে যাই। কিন্তু লঞ্চে থাকা আমার বন্ধু সত্যরঞ্জন উঠতে পারেনি, তার মৃত্যু হয়েছে।’
 
বিআইড‌ব্লিউ‌টিএর যুগ্ম প‌রিচালক (বন্দর) একেএম আরিফ উদ্দিন ব‌লেন, সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে বা‌র্দিং করার আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চটিতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন ব‌লে জানান তি‌নি।